ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮:১৫, ২ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৩১, ২ জুন ২০২৫
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির প্রাক্কলন ধরা হয়েছে। যা জিডিপির ৩.৬ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছরের ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার চেয়ে কম।
সোমবার বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচারিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে বিদেশি ঋণের মূলধন ও সুদ পরিশোধের ব্যয় বেড়েছে। তারপরও বাজেট ঘাটতি সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
ড. সালেহউদ্দিন আরো বলেন, মোট ঘাটতির মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব করছি। এছাড়া আগামী অর্থবছরে সুদ পরিশোধ বাবদ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সুদ বাবদ ১ লাখ কোটি টাকা এবং বিদেশি সুদ বাবদ ২২ হাজার কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাথমিক বাজেট ঘাটতি ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে (জিডিপির ৪.১ শতাংশ)।
সংশোধিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব করেন অর্থ উপদেষ্টা।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন