ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

মেট্রোরেল স্টেশনে ব্যাংক, শপিংমল ও দোকান ভাড়া নেয়ার সুযোগ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭:৫৪, ৮ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৫৪, ৮ মে ২০২৫

মেট্রোরেল স্টেশনে ব্যাংক, শপিংমল ও দোকান ভাড়া নেয়ার সুযোগ

ঢাকার মেট্রোরেল স্টেশনে এবার যাত্রীসেবার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যবহার করতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। বিভিন্ন দেশে মেট্রোরেল স্টেশনে ফাস্টফুড, বিভিন্ন পণ্যের দোকান চোখে পড়ে। সেই ধারণা থেকে দুটি স্টেশনে সে রকম উদ্যোগ নিয়েছে ডিএমটিসিএল।

প্রাথমিকভাবে ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশনের বিশাল ফ্লোর ভাড়া দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। 

উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে মেট্রোরেলে স্টেশন আছে ১৬টি। এর মধ্যে কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট স্টেশনের নকশা কিছুটা ভিন্ন। অন্য সব স্টেশন দুইতলা হলেও এ দুটি তিন তলাবিশিষ্ট। স্টেশন দুটি পরিচালনা করা হয় তৃতীয় তলা থেকে। দ্বিতীয় তলায় প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট করে জায়গা রয়েছে, যা ভাড়া দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। 

সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভাড়া নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান শপিংমল, ডেইলিশপ, ব্যাংক বা অফিস কিংবা অন্য কোনো কাজে মেট্রো স্টেশনের সংশ্লিষ্ট ফ্লোর ব্যবহার করতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন করা হবে। ভাড়ার প্রস্তাব বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স বা যমুনা ফিউচার পার্কের ভাড়ার সমান বা বেশি হতে হবে। ইজারা মেয়াদ ১০ বছর, যা নবায়নযোগ্য নয়।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার স্টেশনে দুটি বড় স্পেস রয়েছে, প্রতিটির আয়তন প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট। অন্যদিকে লাইন-৬-এর বাকি স্টেশনগুলোতে গড়ে ১৫০ বর্গফুট আয়তনের তিন-চারটি ছোট কক্ষ রয়েছে, যা ভিন্ন ধরনের ব্যবসার জন্য উপযোগী।

তিনি বলেন, প্রথমে বড় স্পেস ভাড়া দেয়া হবে, এরপর ছোট কক্ষগুলো ইজারা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, দৈনন্দিন পরিচালন ব্যয় মেটানো এবং ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য যাত্রীর কাছে টিকিট বিক্রির আয় ছাড়াও অন্য খাতে আয়ের দিকে সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্থাটি। এরই অংশ হিসেবে স্টেশনগুলোর বাণিজ্যিক স্পেস ভাড়া দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এএ

 

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন