ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

বাংলাদেশে স্মারক মুদ্রা ও স্মারক নোট প্রচলন

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮:২৩, ১৮ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৮:২৩, ১৮ মে ২০২৫

বাংলাদেশে স্মারক মুদ্রা ও স্মারক নোট প্রচলন

দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক ঘটনা, বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিবস, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, রাষ্ট্রের বিশেষ দিবস উদযাপনসহ বিবিধ কারণে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্মারক মুদ্রা ও নোট ইস্যু করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত ১২টি স্মারক মুদ্রা, ৫টি স্মারক নোট ও ব্যাংকনোটের ১টি স্মারক সংখ্যা ইস্যু করেছে। 

বাংলাদেশের ২০তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম রৌপ্য স্মারক মুদ্রা ইস্যু করা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ২০০০ সালে সর্বপ্রথম স্বর্ণ স্মারক মুদ্রা ইস্যু করা হয়। মহান বিজয়ের ৪০ বছর উদযাপনকে স্মরণীয় করার লক্ষ্যে ২০১১ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম স্মারক নোট ইস্যু করা হয়। 

তাছাড়া, ১৯৯৬ সালে আতিয়া জামে মসজিদের ছবি সম্বলিত ১০ টাকার নোটের জলছাপের নীচের অংশে ‘বিজয় দিবস/ রজত জয়ন্তী ‘৯৬’ শব্দগুলি মুদ্রণ করে নোটটির একটি স্মারক সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত সকল স্মারক মুদ্রা বিদেশি মিন্ট হতে এবং সকল স্মারক নোট দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিঃ এ মুদ্রণ করা হয়েছে।

স্মারক মুদ্রা
২০তম বিজয় দিবস ১৯৯১: বাংলাদেশের ২০তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯৯১ সালে এ মুদ্রাটি ইস্যু করা হয়। এ মুদ্রার একপিঠে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের ছবি এবং অন্য পিঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি মুদ্রিত রয়েছে। এক টাকা অভিহিত মূল্যের গোলাকৃতি এই মুদ্রাটির ওজন ৩১.৪৭ গ্রাম এবং ব্যাস ৩৮.৬১ মিলিমিটার যা জার্মানী হতে ৯২৫ ফাইন সিলভার দ্বারা প্রস্তুতকৃত।

২৫তম অলিম্পিক গেমস ১৯৯২: ২৫তম অলিম্পিক গেমস উদযাপন উপলক্ষে ১৯৯২ সালে এ মুদ্রাটি ইস্যু করা হয়। মুদ্রাটির একপিঠে অলিম্পিক গেমসের মশাল বহনকারী ক্রীড়াবিদের অপূর্ব দেহভঙ্গিমা সম্বলিত ছবি এবং অপর পিঠে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। এক টাকা অভিহিত মূল্যের গোলাকার আকৃতির মুদ্রার ব্যাস ৩৮.৬১ মিলিমিটার, ওজন ৩১.৪৭ গ্রাম। ৯২৫ ফাইন সিলভার দ্বারা মুদ্রিত মুদ্রাটি জার্মানী থেকে প্রস্তুতকৃত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রজত জয়ন্তী ১৯৯৬: বাংলাদেশ ব্যাংকের রজত জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১৯৯৬ সালে দশ টাকা অভিহিত মূল্যের এ মুদ্রাটি ইস্যু করা হয়। মুদ্রাটির একপিঠে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান ভবনের ছবি এবং অপর পিঠে জাতীয় ফুল শাপলা মুদ্রিত রয়েছে। স্পেন থেকে প্রস্তুতকৃত ৯২৫ ফাইন সিলভার দ্বারা প্রস্তুতকৃত অষ্টভূজাকৃতির এই মুদ্রাটির ওজন ৩১.৪৭ গ্রাম এবং ব্যাস ৩৮.৬১ মিলিমিটার।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী ১৯৯৬: বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে ১৯৯৬ সালে এ মুদ্রাটি ইস্যু করা হয়েছে। মুদ্রাটির একপিঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং অপরপিঠে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি মুদ্রিত রয়েছে। দশ টাকা অভিহিত মূল্যের
গোলাকার আকৃতির ৯২৫ ফাইন সিলভার দ্বারা মুদ্রিত মুদ্রাটির ওজন ৩১.৪৭ গ্রাম ও ব্যাস ৩৮.৬১ মিলিমিটার। মুদ্রাটি স্পেন থেকে প্রস্তুতকৃত।

বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন ১৯৯৮: বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ মুদ্রাটি ১৯৯৮ সালে ইস্যু করা হয়। মুদ্রাটির এক পিঠে রয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতু এবং অপর পিঠে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। ৯০% ফাইন সিলভার এবং ১০% নিকেল দ্বারা স্লোভাকিয়া থেকে প্রস্তুতকৃত গোলাকৃতি এ মুদ্রাটির ওজন ৩০ গ্রাম এবং ব্যাস ৪০ মিলিমিটার।

বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন-১৯৯৮: বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ স্মারক মুদ্রাটি ১৯৯৮ সালে ইস্যু করা হয়। মুদ্রাটির একপিঠে বঙ্গবন্ধু সেতু এবং অপরপিঠে তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য “অপরাজেয় বাংলা’’ মুদ্রিত রয়েছে। ১০০% নিকেল দ্বারা কানাডা থেকে প্রস্তুতকৃত গোলাকৃতি এ মুদ্রাটির ওজন ২৫ গ্রাম এবং ব্যাস ৩৫ মিলিমিটার।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- ২০০০:  জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করার প্রেক্ষিতে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই স্বর্ণমুদ্রাটি ২০০০ সালে ইস্যু করা হয়। মুদ্রাটির এক পিঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি ও অপর পিঠে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো মুদ্রিত রয়েছে। কানাডা থেকে প্রস্তুতকৃত ২২ ক্যারেট স্বর্ণের গোলাকৃতি এ মুদ্রাটির ওজন ১০ গ্রাম।

বাংলাদেশ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১১: ২০১১ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অন্যতম স্বাগতিক দেশ হবার গৌরব অর্জন করে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২০১১ সালে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ স্মারক মুদ্রাটি ইস্যু করা হয়। মুদ্রাটির একপিঠে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১১ এর লোগো এবং অপর পিঠে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফি এর প্রতিকৃতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও মুদ্রার মূল্যমান মুদ্রিত রয়েছে। ৯২৫ ফাইন সিলভার দ্বারা জার্মানী থেকে প্রস্তুতকৃত গোলাকৃতি এই মুদ্রাটির ওজন ৩০ গ্রাম এবং ব্যাস ৩৮ মিলিমিটার।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মজয়ন্তী-২০১১: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২০১১ সালে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ স্মারক মুদ্রাটি ইস্যু করা হয়। মুদ্রাটির একপিঠে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর প্রতিকৃতি এবং অপর পিঠে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি এবং তাঁর স্বাক্ষর মুদ্রিত রয়েছে। ৯৯৯ ফাইন সিলভার দ্বারা জার্মানী থেকে প্রস্তুতকৃত গোলাকৃতির এই স্মারক মুদ্রাটির ওজন ২২.১০ গ্রাম এবং ব্যাস ৩৮ মিলিমিটার।

বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বৎসর-২০১১: বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বৎসর (১৯২১-২০১১) পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ স্মারক মুদ্রাটি ২০১১ সালে ইস্যু করা হয়। মুদ্রাটির এক পিঠে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের আবক্ষ প্রতিকৃতি ও অপর পিঠে বিদ্রোহী কবিতার ৪টি চরণ এবং কাজী নজরুল ইসলামের স্বাক্ষর মুদ্রিত রয়েছে। ৯৯৯ ফাইন সিলভার দ্বারা নেদারল্যান্ডস থেকে প্রস্তুতকৃত গোলাকৃতি এ মুদ্রাটির ওজন ২৫ গ্রাম এবং ব্যাস ৩৮ মিলিমিটার।

বাংলাদেশের বিজয়ের ৪০ বছর উদযাপন-২০১১: বাংলাদেশের বিজয়ের ৪০ বছর উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ স্মারক মুদ্রাটি ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখ ইস্যু করা হয়। মুদ্রাটির এক পিঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের ছবি এবং অপর পিঠে ছয়জন মুক্তিযোদ্ধার ছবি মুদ্রিত আছে। ৯৯৯ ফাইন সিলভার দ্বারা নেদারল্যান্ডস থেকে প্রস্তুতকৃত গোলাকৃতি এ মুদ্রাটির ওজন ২৫ গ্রাম এবং ব্যাস ৩৮ মিলিমিটার।

জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ পূর্তি- ২০১৩: বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (১৯১৩-২০১৩) উদ্যাপনকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ মুদ্রাটি ০৮ জুলাই ২০১৩ তারিখ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যু করা হয়। মুদ্রাটির পিঠে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম মুদ্রিত রয়েছে। ৯৯৯ ফাইন সিলভার দ্বারা জাপান থেকে প্রস্তুতকৃত ৩৮ মিমি ব্যাসবিশিষ্ট খাঁজকাটা ও গোলাকৃতির এ স্মারক মুদ্রাটির ওজন ২২ গ্রাম।

স্মারক নোট
বাংলাদেশের বিজয়ের চল্লিশ বছর- ২০১১: বাংলাদেশের মহান বিজয়ের চল্লিশ বছর উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ৪০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ স্মারক নোটটি ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখ ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত ১৪০ মিমি দ্ধ ৬২ মিমি পরিমাপের এ স্মারক নোটটির একপিঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি মুদ্রিত রয়েছে। অপর পার্শ্বে ছয়জন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছবি মুদ্রিত রয়েছে। 

ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর - ২০১২: বাংলাদেশের মহান ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ৬০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ স্মারক নোটটি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত ১৪০ মিমি ও ৬২ মিমি পরিমাপের এ স্মারক নোটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি এবং এর মধ্যভাগে নীচে ‘‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’’ মুদ্রিত রয়েছে। অপর পার্শ্বে পাঁচ (৫) জন ভাষা শহীদের ছবি এবং বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনারের ছবি মুদ্রিত রয়েছে।

জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ পূর্তি - ২০১৩: বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (১৯১৩-২০১৩) উযাপনকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের এ স্মারক নোটটি ০৮ জুলাই ২০১৩ তারিখে ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত ১৪০ মিমি ও ৬২ মিমি পরিমাপের এ স্মারক নোটের এক পিঠে “বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ ১৯১৩-২০১৩’’
লেখা রয়েছে। নোটের অপর পিঠে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ভবনের ছবি রয়েছে।

দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিঃ এর ২৫ বছর পূর্তি - ২০১৩:  দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিঃ (এসপিসিবিএল) এর ২৫ বছর পূর্তি (১৯৮৮-২০১৩) উপলক্ষে ২৫ টাকা অভিহিত মূল্যের এ স্মারক নোটটি ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখ ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত ১২৩ মিমি ও ৬০ মিমি পরিমাপের এ স্মারক নোটের এক পিঠে
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি, ব্যাংক নোট ও স্ট্যাম্পের ছবি, তিনটি চিত্রা হরিণ ও একটি দোয়েল পাখির ছবি রয়েছে। নোটটির অপর পিঠে এসপিসিবিএল ভবনের প্রতিকৃতি ও সুদৃশ্য ডিজাইন রয়েছে।

উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশ-মার্চ ২০১৮: স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ অভিযাত্রার গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ‘‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশ-মার্চ ২০১৮’’ শীর্ষক ৭০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই স্মারক নোটটি ২২ মার্চ ২০১৮ তারিখে অবমুক্ত করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত ১৪০মিমি ও ৬২ মিমি পরিমাপের এ স্মারক নোটের সম্মুখভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বেতবুনিয়া ভ‚-উপগ্রহ কেন্দ্র, বাংলাদেশের মানচিত্র, বাইনারি সংখ্যা ইত্যাদি মুদ্রিত রয়েছে এবং নোটটির অপর পিঠে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ও নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর নকশা মুদ্রিত রয়েছে। স্মারক নোটটির অভিহিত মূল্য ৭০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন