দি ব্যাংকার ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:৪৮, ১ মে ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত
কাপ্তাই হ্রদনির্ভর জেলেরা বছরের ৯ মাস মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বছরের বাকি তিন মাস মাছ ধরায় নিশষেদধাগজ্ঞা চলাকালীন এ সময়ে সবার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে। আজ (১ মে) থেকে শুরু হওয়া কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরায় তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর জেলা প্রশাসনের তথ্য জানাচ্ছে, এ সময়ে প্রায় ২৭ হাজার জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে। তবে এই সহায়তা যথাযথভাবে পৌঁছাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে জেলেদের।
কাপ্তাই জেলেপাড়ার অনেকের অভিযোগ, সহায়তা অনেক সময় মিললেও তা ঠিকমতো হাতে পৌছায় না। তাদের অভিযোগ, একবারে তিন মাসের চাল দিলেও পরে তাদের অবস্থার কোনো খবর নেওয়া হয় না।
নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে মৎস্য অবতরণ ঘাটের শ্রমিকদের ওপরও। তারা জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়টিতে তারা পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়েন। তাই তাদেরও ভিজিএফ সুবিধার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
বিএফডিসি সূত্রমতে, গত বছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৭ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন মাছ অবতরণ হয়েছে, যার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক বলেন, ‘জেলেরা যাতে নিষেধাজ্ঞা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য সহায়তা পান, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি, যথাসময়ে চাল পৌঁছে যাবে। যদি মাছ শিকারের সময়সীমা বাড়ে, সেই সময়ের জন্যও সহায়তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।’