ঢাকা, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

সোমবার থেকে ঢাকায় পাওয়া যাবে নতুন টাকা

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৩:০৬, ১ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২৩:০৬, ১ জুন ২০২৫

সোমবার থেকে ঢাকায় পাওয়া যাবে নতুন টাকা

রাজধানীর ব্যাংক শাখাগুলোতে আগামীকাল সোমবার (২ জুন) থেকে নতুন নকশার নোট পাওয়া যাবে। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এই নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন।

আজ রোববার থেকে প্রাথমিকভাবে সীমিত পরিসরে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বিতরণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিস। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে বিতরণ শুরু হয়েছে।

তবে চাহিদা অনুযায়ী নতুন নোট দিতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য ঈদের ছুটির আগে রাজধানী ছাড়া অন্য জেলা শহরে এসব নোট মিলবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসের বাইরে আজ যে ১০টি ব্যাংকে টাকা দেওয়া হয়েছে, ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, পূবালী, উত্তরা, ডাচ্-বাংলা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ও ব্র্যাক ব্যাংক। এসব ব্যাংকের লোকাল অফিসকে নতুন টাকা দেওয়া হয়েছে। কাল অন্য ব্যাংককে নতুন টাকা দেওয়া হবে।

এসব টাকা কাল সোমবার থেকে বিতরণ শুরু করবে ব্যাংকগুলো। তবে কোন ব্যাংক কোন শাখার মাধ্যমে নতুন টাকা বিতরণ করবে, তা নিজেরাই ঠিক করবে।

জানা গেছে, ঈদের আগে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা মূল্যমানের নোট ছাপানো সম্ভব হয়েছে। এসব নোটের মধ্যে বেশির ভাগই ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হচ্ছে। বাকি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে বিনিময় করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা চালু থাকবে।

১০০০ টাকার নোটের বৈশিষ্ট্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ১০০০ টাকা মূল্যমানের নতুন ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ মি.মি. × ৭০ মি.মি। এটি ১০০ শতাংশ সুতি কাগজে মুদ্রিত এবং এতে জলছাপ হিসেবে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ রাখা হয়েছে। নোটটির প্রধান রঙ বেগুনি।

নোটের সম্মুখপৃষ্ঠের বাঁ পাশে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সাভারের ছবি এবং মাঝখানের ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত শাপলার ছবি মুদ্রিত রয়েছে, যা ইউভি ডিটেক্টর মেশিন দ্বারা দৃষ্টিগোচর হয়। আর পেছনপৃষ্ঠে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি সংযোজন করা হয়েছে।

নোটটির মোট ১৩টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সম্মুখপৃষ্ঠের বাঁ পাশে ৫ মি.মি. চওড়া নিরাপত্তা সূতা সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে 'বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম' ও '১০০০ টাকা' লেখা আছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে নিরাপত্তা সুতার 'বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম' অংশ লাল থেকে সবুজে পরিবর্তিত হয় এবং '১০০০ টাকা' অংশের উজ্জ্বল রঙধনু বার ওপর থেকে নিচে ওঠানামা করে।

৫০ টাকার নোটের বৈশিষ্ট্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ৫০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩০ মিমি × ৬০ মিমি। নোটটি ১০০ শতাংশ সুতি কাগজে মুদ্রিত। জলছাপ হিসেবে এতে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, '৫০' এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম রয়েছে। নোটটির প্রধান রঙের আধিক্য গাঢ় বাদামি।

নোটের সম্মুখভাগের বামপাশে আহসান মঞ্জিল, ঢাকা এর ছবি থাকবে। নোটের উভয় পাশে মাইক্রোপ্রিন্ট হিসেবে ইংরেজিতে 'বাংলাদেশ ব্যাংক' লেখা থাকবে।

নোটের পেছনভাগের বাম দিকে উপরের অংশে '৫০' এবং নিচের অংশে '৫০' লেখা থাকবে। পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ডে মাইক্রোপ্রিন্ট হিসেবে ইংরেজিতে যথাক্রমে '৫০ টাকা' এবং 'বাংলাদেশ ব্যাংক' লেখা থাকবে।

২০ টাকার নোটের বৈশিষ্ট্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ২০ টাকার ব্যাংক নোটটির আকার ১২৭ মিমি x ৬০ মিমি। এটি শতভাগ সুতি কাগজে মুদ্রিত এবং জলছাপ হিসেবে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ। নোটের প্রধান রঙের আধিক্য সবুজ।

নোটের সম্মুখভাগের বাঁ পাশে রয়েছে ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দিরের ছবি। ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা মুদ্রিত। নোটের পেছনভাগের জলছাপ এলাকার ডান পাশে রয়েছে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ছবি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে এই নোটে মোট পাঁচটি বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। সম্মুখভাগের বাঁ পাশে রয়েছে ২ মিমি চওড়া নিরাপত্তা সুতা, যা নোট নাড়াচাড়া করলে লাল থেকে সবুজে পরিবর্তিত হয়। এছাড়া গভর্নরের স্বাক্ষরের ডান পাশে একটি বিশেষ প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে, যা আলোর বিপরীতে ধরলে '২০' লেখা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়।

এএ

 

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন