ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭:১০, ৩ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৭:১০, ৩ জুন ২০২৫
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত জমায় আবগারি শুল্ক মওকুফ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা কিছুটা লাগবে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার বাজেট বক্তৃতায় করছাড়ের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আমানতের ওপরই কেবল আবগারি শুল্ক কাটা হয়, তেমন না। আমানত, ঋণ বা অন্য যে কোনো ধরনের জমার ভিত্তিতে বছরে একবার আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটি কেটে সরকারি কোষাগারে জমা করে ব্যাংকগুলো।
বর্তমানে এক লাখ টাকার বেশি জমায় ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক ধার্য হয়, যা জমার পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকার জমায় ১৫০ টাকা, পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার জমায় ৫০০ টাকা, ১০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকার জমায় ৩ হাজার টাকা, ৫০ লাখ থেকে এক কোটি টাকার জমায় ৫ হাজার টাকা এবং এক কোটি থেকে পাঁচ কোটি টাকার জমায় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা শুল্ক কাটা হয়।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, জনসাধারণকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ১ লাখ টাকার পরিবর্তে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক স্থিতির ওপর আবগারি শুল্ক কাটা হবে না।
আবগারি শুল্কের বাইরে আমানতে অর্জিত মুনাফার ওপর যাদের আয়কর নথি রয়েছে তাদের ১০ শতাংশ এবং যাদের নেই তাদের ১৫ শতাংশ দিতে হয়। এর বাইরে ব্যাংকগুলো সার্ভিস চার্জসহ বিভিন্ন ধরনের ফি নিয়ে থাকে।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন