দি ব্যাংকার ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:২৯, ৩ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৪০, ৭ মে ২০২৫
পটপরিবর্তনের পর আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে নানা কারণে এখনও অনেকগুলো ব্যাংকে দেখা দিয়েছে তারল্য সংকট। এ সংকট মোকাবিলায় ইতোমধ্যে তদারকি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাংকগুলোও গ্রাহকসেবার মান বাড়ানোর জন্য নানা কার্যক্রম নিচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকিং খাতে এখনও তথ্যপ্রবাহ এবং গ্রাহকের পক্ষে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করার পথ সহজ নয়। এ বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি দি ব্যাংকার-এর সাথে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মো. আখতারুজ্জামান।
দি ব্যাংকার : দেশে ব্যাংক খাত নানা প্রতিবন্ধকতার মুখেও আস্তে আস্তে ঘুরে দাড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত?
ড. মো. আখতারুজ্জামান : দেশে ব্যাংক খাতে দীর্ঘদিন নানা প্রতিবন্ধকতা ছিল এ কথা সত্য। এক্ষেত্রে কিছু ব্যাংকে রাজনৈতিক বিবেচনায় পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ এবং নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পটপরিবর্তনের পর আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে যার সুফল আমরা পাচ্ছি। তবে দীর্ঘদিন নানা অনিয়মের কারণে অনেক ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। মূলত গ্রাহকের আস্থা কমে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। ব্যাংকের মূল চালিকাশক্তি গ্রাহকের আমানত। যখন গ্রাহক তার আমানত রাখার বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তখন ব্যাংকের ওপর তার প্রভাব পড়ে। বিশেষত ব্যাংকাররা আমানত সংগ্রহের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েন। কিন্তু আস্তে আস্তে ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু মূল সমস্যা হলো, বিনিয়োগ কম থাকায় ব্যাংকিং খাতেও লেনদেন অনেকাংশে কমে গেছে। এটি তারল্য সংকট বাড়ার পেছনে একটি বড় কারণ। সামনের দিনগুলোতে ব্যাংকের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ লেনদেন বাড়ানো এবং আমানত সংগ্রহ করা। শুধু তাই নয়, ব্যাংকে গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রাহক যেন নির্বিঘ্নে লেনদেন করতে পারে তা নিশ্চিত করার দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে।
দি ব্যাংকার : বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ব্যাংকের ভূমিকা কেমন এবং কীভাবে গ্রাহকের আস্থা ফিরতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
ড. মো. আখতারুজ্জামান : বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য শুধু ব্যাংক নয় বরং রাষ্ট্রকেও উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংক অর্থ লেনদেনের পাশাপাশি ঋণ বিতরণও করে থাকে। এখন প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রিন ব্যাংকিং শুরু হয়েছে। অর্থাৎ আগের মতো কাগুজে পদ্ধতিতে কিছু হয় না। এখন ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকায় ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংকিং সেবা নিতে হয় না। বরং নিজ বাড়িতে বসেই এখন অনেকে ব্যাংকসেবা নিতে পারেন। কিন্তু দেশের অনেক মানুষ ব্যাংকিং পরিসেবা সম্পর্কে সচেতন নন। আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখনও চেকের ওপর নির্ভর করেন। কারণ ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা প্রযুক্তির অনেক খুটিনাটি তাদের জানা নেই। ব্যাংকগুলো ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে। কিন্তু যখন বিদেশি বিনিয়োগ কম থাকবে তখন ব্যাংকে লেনদেনও কম হবে। দেশের অভ্যন্তরে এখন বেতন-ভাতা দেওয়ার কাজটি ব্যাংকের মাধ্যমে করার পরিসর বাড়ানো হয়েছে, এ কথা সত্য। কিন্তু ব্যাংকগুলো সম্পর্কে তথ্যের অভাব রয়েছে। গ্রাহকরা নিজেরাও জানেন না কোন ব্যাংকে গেলে তারা কেমন সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বিশেষত ব্যাংকিং খাতে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ঋণপ্রাপ্তির বিষয়ে নানা সংকটের মুখে পড়ছেন। ব্যাংকগুলোকে তাই নিজ সেবা সম্পর্কে তথ্য প্রদানের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ব্যাংকগুলোকে এখন নিজেদের ওপর আস্থা ফেরানোর কাজ বাড়াতে হবে। কাজটি কঠিন। তবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবহারে এবং ব্যাংকারদের সততার মাধ্যমে গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার কাজটিতে গুরুত্ব দিতে হবে। আস্তে আস্তে সেবার পরিসর বাড়াতে হবে। ব্যবসায়ীদের লেনদেন বাড়লে ব্যাংকের জন্যও তা ইতিবাচক।
দি ব্যাংকার : ব্যাংকগুলোতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানা সমস্যার অভিযোগ প্রায়ই করে থাকেন। যেমনটি বলেছেন, ব্যবসায়ীক লেনদেন বাড়াতে হবে। কিন্তু গ্রাহকদের আমানত না থাকলে কী বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব?
ড. মো. আখতারুজ্জামান : যেমনটি বলেছি, কাজটি একার ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব নয়। ব্যাংক সর্বোচ্চ করপোরেট পরিবেশ নিশ্চিত করে থাকে। বিশেষত কিছু কিছু ব্যাংক ঝুকির মধ্যে রয়েছে বলে মার্জ করারও প্রস্তাব এসেছিল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। কিন্তু নানা কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। মূলত নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের কয়েকটি শাখার উর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় গোটা প্রতিষ্ঠানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনকি সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার হওয়ায় সাধারণ মানুষের মনেও ব্যাংক সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা গড়ে উঠেছে। তবে আস্তে আস্তে তা কেটে যাচ্ছে। দেশের মানুষ পরিশ্রমী। আধুনিক সময়ে ব্যাংকিং সেবা ছাড়া ঋণপ্রাপ্তি থেকে শুরু করে বৈদেশিক অর্থ আদান-প্রদানের কাজটিও কঠিন। এখন এমএফএসের ব্যবহার বেড়েছে তবে ব্যাংক খাতে অর্থ লেনদেন করা সাশ্রয়ী বলে অনেকে ব্যাংকের দিকেই ঝুকছেন। এক্ষেত্রে বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে কঠোর পর্যবেক্ষণের ওপর নির্ভর করতে হবে। ব্যাংক খাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতের প্রতি তরুণ প্রজন্মেরও আগ্রহ রয়েছে। আমাদের অর্থনীতিরও যে সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে টেকসই ব্যাংকখাত ও অটোমেশনের মাধ্যমে যদি তদারকি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এখন দায়িত্ব অনেক বেশি। এ জন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের দক্ষ অনেকেই এ খাতে যুক্ত হচ্ছেন এবং তারা সততার সঙ্গে কাজ করছেন। আমরা দেখেছি, বেশ কটি ব্যাংকে রেমিটেন্স আসছে বিপুল পরিমাণে। বৈধ চ্যানেলে প্রবাসীরা এখনও লেনদেন করছেন। ব্যাংকগুলোও এক্ষেত্রে তাদের সুযোগ দিচ্ছে। আস্তে আস্তে দেশের অভ্যন্তরেও ব্যাংকসেবাকে টেকসইয়তার দিকে নিতে পারলে তা ইতিবাচক হবে।
ব্যাংকগুলো এখন গ্রাহকদের সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়ানোর বিষয়টিতে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এজন্য ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন সঞ্চয় পরিকল্পনা ও প্যাকেজ রয়েছে। কিন্তু অনেক গ্রাহকের কাছে এসব বিষয়ে তথ্য নেই। ব্যাংকগুলোকে ভাবতে হবে কীভাবে তারা তাদের আর্থিক সেবার বিষয়গুলো গ্রাহকের কাছে উপস্থাপন করবে। সেজন্য সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন, জনসংযোগ বাড়ানো এবং নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রচারণা চালাতে হবে। আধুনিক সময়ে তথ্যই গ্রাহকদের কাছে টানতে পারে। এজন্যই এমএফএস এত জনপ্রিয় হয়েছে। এমএফএসগুলো সঞ্চয়ের সুবিধাও দিচ্ছে। কিন্তু এ সুবিধা তারা দিচ্ছে কোনো ব্যাংকের মাধ্যমেই। অথচ তারা যদি এ সেবাটি সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমেই পেতে পারত তাহলে ব্যাংক লাভবান হতো বেশি। গ্রাহকেরও তাতে সুবিধা হতো।
দি ব্যাংকার : ব্যাংক খাতে তথ্যপ্রাপ্তির ঘাটতি না থাকার বিষয়টি বিস্তারিত যদি বলেন।
ড. মো. আখতারুজ্জামান : আগেই বলেছি, ব্যাংকিং ব্যবস্থা এখন টেকনোলজিনির্ভর হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ সেলে এখন সহজেই ইন্টারনেট মাধ্যমে অভিযোগ করা যায়। বাড়িতে বসেই এখন অর্থ লেনদেন করা যায়। ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ ট্রান্সফারের জন্য রয়েছে এনপিএসবি সুবিধা, ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন আরটিজিএস সুবিধা। গ্রামীন অর্থনীতির বিকাশে ব্যাংকগুলো এখন এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে যেখানে নুন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান থাকলেও অনেকে অর্থ উত্তোলন এবং ব্যাংকিং সেবা পেয়ে থাকেন। কিন্তু গ্রাহক কোন ব্যাংকে গেলে বেশি সুবিধা পাবেন, কোন ব্যাংক আসলে কোন ধরনের গ্রাহকদের বেশি গুরুত্ব দেয় এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কম। এক্ষেত্রে দেশে ব্যাংকিং বিষয়ক বিশেষায়িত ম্যাগাজিন, নিউজ পোর্টাল কম। সম্প্রতি কিছু কিছু উদ্যোগ বেড়েছে। তবে তা অপ্রতুল। ব্যাংকারদের অনেকেই নানাভাবে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তির এই সময়ে অনলাইন নানা মাধ্যমে প্রচার বাড়লে ফলাফল পাওয়া যায় দ্রুত। উন্নত বিশ্বে একজন গ্রাহক কোন ব্যাংকের সেবা নেবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্যের ওপর নির্ভর করেন। এক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের আগ্রহ রয়েছে অবশ্যই। বিশেষত যারা ব্যাংক খাতে যুক্ত হতে চান তারা বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ করেন। বিশেষত অনেকদিন অধ্যাপনায় যুক্ত থাকায় এ অভিযোগটিই বেশি পেয়েছি।
দি ব্যাংকার : আপনি বলেছেন ব্যাংকে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এও বলেছেন, যারা ব্যাংক খাতে যুক্ত হতে চান তারা প্রায়ই তথ্যের অভাবের অভিযোগ করেন। অর্থাৎ যারা এ খাতে যুক্ত হতে চান তারা দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখে রয়েছেন। যারা এ পেশায় যুক্ত হতে চান তাদের প্রতি কী কী পরামর্শ থাকবে?
ড. মো. আখতারুজ্জামান : ব্যাংকিং পেশায় যুক্ত হওয়ার জন্য জানার পরিধি বাড়ানোর আগে জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া। শিক্ষাজীবন থেকেই একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। বিশেষত আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যারা শিক্ষাজীবন থেকেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে থাকেন তারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ব্যাংকখাতে এখন বুকিশ জ্ঞান পর্যাপ্ত নয়। একজন ব্যাংকারকে বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দ্রুত সময়ে গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করতে হয়। একজন ব্যাংকার যদি গ্রাহককে দ্রুত সমাধান দিতে পারেন তাহলে গ্রাহকের আস্থা অর্জন হয়। ওই ব্যাংকার পরোক্ষভাবে গ্রাহকের পরিচিত কাউকেও আকর্ষণ করতে পারেন। তাই একজন ব্যাংকারকে যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। বিশেষত তার ব্যাংকের আর্থিক পরিসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তিগত জ্ঞান বাড়াতে হবে।
ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি জরুরি। বাংলা ও ইংরেজি দুটো ভাষাতেই সাবলীল হতে হবে। ব্যাংকের প্রস্তুতির সময় যে সিলেবাসটি রয়েছে তা মূলত প্র্যাক্টিক্যালিটির দিকে ভিত্তি করে গড়া। অর্থাৎ একজন কর্মী কী কী ভাষাগত যোগ্যতা অর্জন করবেন তার বেসিকটা জানতে হবে। শুধু ভাষার নিয়ম জানলেই হবে না। এমনকি ব্যাংকে যে গাণিতীক ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকা দরকার সেটিও চর্চার মাধ্যমে বাস্তবে প্রয়োগের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আশার কথা হলো, তরুণ প্রজন্ম নানা সেমিনার-সিম্পোজিয়াম এবং ব্যাংক খাতের ফেস্ট ও প্রতিযোগীতায় অংশ নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সংশ্লিষ্ট বিভাগে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে সিলেবাস সাজাচ্ছে। যদি সততার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা নিজেদের চর্চায় নিয়োগ করতে পারেন তাহলে ব্যাংকের চাকরিতে তারা দ্রুত উন্নতি করতে পারবেন।