ঢাকা, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

খোলাবাজারে দ্বিগুণ মূল্যে নতুন নোট বিক্রি, ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০:০৭, ৯ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১০:০৭, ৯ জুন ২০২৫

খোলাবাজারে দ্বিগুণ মূল্যে নতুন নোট বিক্রি, ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ঈদুল আজহাকে ঘিরে নতুন টাকা বিতরণের জন্য প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে শত শত কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এই টাকা সাধারণ গ্রাহকের মধ্যে বিতরণ না করে তা সরবরাহ করা হয়েছে খোলাবাজারে। ফলে ব্যাংকে গিয়ে হতাশ হয়ে অনেক গ্রাহক চড়া দামে খোলাবাজার থেকে নতুন টাকা সংগ্রহ করেন।

এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে মোট ৫২০ কোটি টাকার নতুন নোট ছাপানো হয়েছে এবং এ টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে সরবরাহ করা হয়েছে। তবে কোন ব্যাংকে কত টাকা দেয়া হয়েছে— এবিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে ঈদের ৪ দিন আগে থেকেই ফুটপাতে বিক্রেতারা ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোটের বান্ডিল নিয়ে বসে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তৈরি করা নতুন ২০ টাকার একটি বান্ডিল (মূল্য ২,০০০ টাকা) বিক্রি হয় ৩,৫০০ টাকায়—অর্থাৎ অতিরিক্ত ১,৫০০ টাকা লাভ। ৫০ টাকার বান্ডিল (মূল্য ৫,০০০ টাকা) বিক্রি ৭,০০০ টাকায়, যার ফলে প্রতি বান্ডিলে ২,০০০ টাকা অতিরিক্ত নেয় নোট ব্যবসায়ীরা। এমনকি ১,০০০ টাকার প্রতি বান্ডিল বিক্রি হয়েছে ১,০৫,০০০ থেকে ১,১০,০০০ টাকায়।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, "সপ্তাহের শুরু থেকেই ব্যাংকগুলোকে নতুন টাকা সরবরাহ করা হয়েছে। অথচ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, অধিকাংশ ব্যাংকই এই টাকা সাধারণ গ্রাহকের হাতে পৌঁছায়নি।"

বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন টাকার ঘাটতি এবং খোলা বাজারে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তারা আরও জানান, "এভাবে খোলাবাজারে নতুন টাকা বিক্রির কোনো বৈধতা নেই। এ বিষয়ে অচিরেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত কোড অনুসরণ করে নতুন টাকা সরবরাহ করতে বলা হবে। ভবিষ্যতে যদি [খোলাবাজারের] দোকানিদের হাতে এসব নোট পাওয়া যায়—তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন