ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮:৩১, ১০ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৪৩, ১০ আগস্ট ২০২৫
গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও সংস্কারের ফলে দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে এক হোটেলে আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সিপিডি ডায়ালগে এসব কথা বলেন তিনি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত সংস্কার অন্যতম। ফলে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটা ভালো অবস্থায় গেছে, পতন ঠেকানো গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, একটা বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করা গেছে। এটা একটা অন্যতম সাফল্য। এর পাশাপাশি এটাও জানি মূল্যস্ফীতি উচ্চপর্যায়ে রয়েছে, বিনিয়োগ আসছে না, কর্মসংস্থান হচ্ছে না। রাজস্ব আহরণ বাড়ছে না। সুতরাং এই বিষয়গুলো আগামী ৬ মাস নতুন সরকারকে মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, উচ্চমূল্যস্ফীতি রয়েছে- এ কারণে দরিদ্র মানুষদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য যেসব কর্মসূচি আছে তা চলমান রাখতে হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার কাজও চলমান থাকবে, কারণ এখনো মূল্যস্ফীতি যথেষ্ট উপরে।
বিনিয়োগে স্থবিরতা এসেছে জানিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের সময় নতুন করে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। কিন্তু বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো প্রস্তুত করলে আগামীতে যারা সরকারে আসবে তখন বিনিয়োগকারীরা যেন সহজেই বিনিয়োগ করতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে জেনে গেছি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৫-৬ মাসে নতুন করে সংস্কার কাজ কতটা বাস্তবায়ন হবে, সংস্কারের যে সুপারিশমালা রয়েছে তা কতটা বাস্তবায়ন হবে তা বলা যাচ্ছে না। সংস্কারের জন্য যে পদক্ষেপ এই পর্যন্ত সেটা কিন্তু ধীর গতিতে ছিল।
সিপিডি ডায়ালগে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন