ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০:৩৫, ২২ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩৫, ২২ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষে দেড় দশক ধরে অকার্যকর থাকা বাংলাদেশ-পাকিস্তান জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকালে সচিবালয়ে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে খুবই অর্থবহ আলোচনা হয়েছে। জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন চালু কার্যকর করা এবং নতুন করে ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন গঠনের আলোচনা করছি। দুই দেশ যৌথভাবে বা বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে ইন্টারমেডিয়েট পণ্য উৎপাদন করতে পারলে তা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের উপর পাকিস্তান আন্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করে রেখেছে। আমরা সেটা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছি, তাঁরা আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া আমাদের চামড়া ও চিনি শিল্প উন্নয়নে সহায়তা চেয়েছি।
তিনি বলেন, এক সময় পাকিস্তান আমাদের ১ কোটি কেজি চা রপ্তানিতে ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিতো, তা আবার বহাল করতে অনুরোধ করেছি।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর ৮০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে, যার মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ফুড এন্ড ইন্টারমেডিয়েট পণ্য। দুই দেশের মধ্যে এসব পণ্য বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ আছে, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য নতুন ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন গঠন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা কৃষি ও খাদ্যপণ্য, ফল আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে আলোচনা করেছি। স্থানীয়ভাবে চিনি উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়াতে পাকিস্তানের সহায়তা চেয়েছি। মধ্যবর্তী পণ্য উৎপাদনে পাকিস্তানের বিনিয়োগ চেয়েছি। তাঁরা আমাদের সকল প্রস্তাবে ইতিবাচকভাবে দেখেছে এবং নিউ কমিশনে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।
‘বাংলাদেশ পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে কিনা’- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবার দিকে ঝুঁকছি। পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকছি। ভারত থেকেও পেঁয়াজ আনছি। সবার আগে বাংলাদেশের স্বার্থ, যেখানে দেশের স্বার্থ আছে, সেখানেই ঝুঁকছি।’
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, গত দেড় দশক পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য তেমন ছিলো না বললেই চলে। খাদ্য ও পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমরা নানা দেশ থেকে আমদানি করি, প্রতিযোগিতা দরে পাকিস্তান থেকে এসব পণ্য আনা গেলে প্রব্লেম নেই। একই সঙ্গে আমাদের রপ্তানি বাড়ানোতে গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে পাকিস্তান থেকে ইম্পোর্ট করি বেশি, রপ্তানি কম করি। আমরা রপ্তানি বাড়াতে পারলে দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন