ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬:২৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:২৬, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পোশাক খাতের শ্রমিকদের দুই মাসের (আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) বেতন-ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে হাজার কোটি টাকা ধার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) মাধ্যমে এই অর্থ ছাড় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর মধ্যে এক্সিম ব্যাংকের বিপরীতে ৮৮৬ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। আর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ করা ১১৭ কোটি টাকা ছাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি তীব্র তারল্য সংকটে থাকা পাঁচটি সংকটাপন্ন ব্যাংক পোশাক কারখানাগুলোর রপ্তানি আয় সময়মতো পরিশোধ করতে পারছিল না। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোও তাদের শ্রমিকদের পাওনা মেটাতে পারছিল না, যা শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছিল।
এমন পরিস্থিতিতে পোশাক রপ্তানিকারকদের আর্থিক কার্যক্রমে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে গত ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিএমইএ। এর ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক হাজার কোটি টাকা অর্থ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের তারল্যসংকটের কারণে তাদের গ্রাহক ১১৭টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা জটিলতার মধ্যে পড়ে। এসব প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে বেতন–ভাতার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সমস্যায় পড়ছিল। সব সময় চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংক থেকে টাকা পাচ্ছিল না ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে কারও কারও রপ্তানি বিল নগদায়ন করে অন্য খাতে খরচ করেছে ব্যাংকটি।
এদিকে এক্সিম ব্যাংকের তারল্যসংকটের কারণে ব্যাংকটির গ্রাহক ২৫১ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা জটিলতায় মধ্যে পড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অর্থ ছাড়ের বিষয়ে এই দুই ব্যাংকের গ্রাহক পোশাক কারখানাগুলোর মালিকরা বলছেন, ‘বেতন-ভাতার অর্থ ছাড় হওয়াটা ইতিবাচক। তবে বেতন-ভাতার বাইরে চলতি মূলধনের অর্থপ্রাপ্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়ে গেছে। সেই অর্থ না পেলে সমস্যায় পড়তে হবে। আমরা কোনো ঋণ নয়, আমাদের রপ্তানির প্রত্যাবসিত অর্থ চাই।’
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন