ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২:২৭, ৮ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ২২:২৭, ৮ জুলাই ২০২৫
জুনে দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৪৮ শতাংশে। যা বিগত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। দীর্ঘদিন পর মূল্যস্ফীতির হার ৯%-এর নিচে নামলো।
এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। এরপর গত জুনের মতো এত কম মূল্যস্ফীতি আর হয়নি। গত মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.০৫%। জুন মাসে তা ০.৫৭% কমে বর্তমানে ৮.৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.১৭ শতাংশ। এর আগের মাস মার্চে ছিল ৯.৩৫!।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতির এ পতনের প্রধান কারণ খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামের হ্রাস। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি জুন মাসে নেমে এসেছে ৭.৩৯%, যা মে মাসে ছিল ৮.৫৯%। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেয়েছে।
অপরদিকে, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯.৩৭% হয়েছে—যা মে মাসে ছিল ৯.৪২%।
অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের মুদ্রানীতিগত শৃঙ্খলা ও বাজারে কিছুটা সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় মূল্যস্ফীতিতে এ ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
তবে তারা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত রাখতে বাজার নজরদারি, সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন