ঢাকা, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ মুহররম ১৪৪৭

‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ’ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন আবদুল আউয়াল মিন্টু

প্রকাশ: ২২:৫০, ২৯ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২২:৫০, ২৯ জুন ২০২৫

‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ’ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন আবদুল আউয়াল মিন্টু

চলতি বছর বিশ্বের ২৭টি দেশের ৩৯ জনকে কৃষি ও খাদ্য খাতের অগ্রদূত হিসেবে নির্বাচন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন। এ তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের লাল তীর সিডস লিমিটেড এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেয়।

কৃষি ও খাদ্য খাতের নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত এই সম্মাননা পেলেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। চার দশকের বেশি সময় ধরে কৃষি ও খাদ্য খাতে অব্যাহত অবদানের জন্য এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।

এর আগে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার এ সম্মাননা পেয়েছিলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত ফজলে হাসান আবেদ।

ফাউন্ডেশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচিত ব্যক্তিরা নিজেদের দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা টেকসই ও ন্যায্য বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছেন।

বাংলাদেশে বীজ, সবজি ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। ১৯৮১ সালে তিনি ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করেন। পরে ১৯৯৪ সালে ২৫ একর জমিতে বীজ উন্নয়ন গবেষণাগার ও খামার স্থাপন করে লাল তীর সিডস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন।

এখন প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থার পর্যবেক্ষণে সপ্তম শীর্ষ বীজ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। তিনি দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের (আইএসটিএ সনদপ্রাপ্ত) বীজ পরীক্ষাগারও স্থাপন করেছেন।

মিন্টুর উদ্যোগে দেশে প্রথমবার মহিষের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য উন্নতমানের সীমেন ব্যবহারের প্রচলন, হাইব্রিড ও উন্নত বীজের প্রসারে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তার এ উদ্যোগে দেশের সবজি উৎপাদনে বিশেষ পরিবর্তন এসেছে।

পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, কৃষক ও জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি গবেষণা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে অবদান রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ পুরস্কার নতুন উদ্যোগে কাজ করতে তাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।

এবার মনোনীতদের মধ্যে বিজ্ঞানী, কৃষক, নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও মানবতাবাদী রয়েছেন, যারা বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

আরও পড়ুন