ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

২১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

ব্যাংকগুলোকে বিদেশি ঋণের তথ্য সিআইবি ডাটাবেজে জমা দেওয়ার নির্দেশ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্যাংকগুলোকে বিদেশি ঋণের তথ্য সিআইবি ডাটাবেজে জমা দেওয়ার নির্দেশ

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণসহ সরবরাহকারীদের ক্রেডিটের তথ্য ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) ডাটাবেজে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নির্দেশ ১ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের (সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটসহ) ঝুঁকি মোকাবিলা, জবাবদিহি বৃদ্ধি ও দেশের আর্থিক খাতের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে সিআইবি ডাটাবেজে বিদেশি ঋণের তথ্য অন্তর্ভুক্ত না থাকায় একজন ঋণগ্রহীতার প্রকৃত ঋণের পরিমাণ তার সিআইবি রিপোর্টে প্রতিফলিত হয় না। এর ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, একজন ঋণগ্রহীতা বিদেশি ঋণ খেলাপি করলেও নতুন করে স্থানীয় ঋণ সুবিধা নিতে পারেন।

নতুন নির্দেশনার আওতায় মনোনীত ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব হবে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের বিস্তারিত তথ্য রিপোর্ট করা।

সার্কুলারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত একজন ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গ্রহণ করা সমস্ত বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ (সরবরাহকারীর ক্রেডিটসহ) রিপোর্ট করতে হবে।

যেসব বিদেশি ঋণ সুবিধার জন্য বিডা বা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই সেগুলোও মনোনীত ব্যাংক রিপোর্ট করবে। এটি বিশেষভাবে সেসব সুবিধাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেগুলো বিদ্যমান বিধির অধীনে ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়িত বা অর্থায়নবিহীন ঋণ হিসাবে বিবেচিত নয় এবং যা ব্যাংকের জন্য কোনো দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করে না।

সমস্ত বিদেশি ঋণের তথ্য অনুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রায় রিপোর্ট করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বকেয়া ও খেলাপি অর্থের পরিমাণও সমতুল্য মার্কিন ডলারে উল্লেখ করতে হবে।

প্রতিটি ঋণের জন্য বিদেশি ঋণদাতার নাম, ঠিকানা, দেশ এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অনুমোদন কর্তৃপক্ষের বিবরণও জমা দিতে হবে। মনোনীত ব্যাংক ঋণগ্রহীতা থেকে সাপোর্টিং ডকুমেন্ট সংগ্রহ করবে।

এরপর ব্যাংক ঋণগ্রহীতার পাশাপাশি ঋণের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানিক পক্ষের তথ্য রিপোর্ট করবে। এতে পরিচালক, ২০ শতাংশের বেশি শেয়ারধারী এবং গ্যারান্টর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। রিপোর্টিং সিআইবি সার্কুলার ও নির্দেশিকা অনুযায়ী করতে হবে। ।

বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের তথ্য সিআইবি ডাটাবেজে মাসিক রিপোর্টিং ১ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে শুরু হবে। প্রথম রিপোর্টিংয়ে অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত ঋণের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো বিদেশি ঋণ সমন্বয় হলে বা নতুন ঋণ হলে কিংবা কোনো কারণে ঋণের মান পরিবর্তন হলে তাৎক্ষণিক সিআইবিতে হালনাগাদ করতে হবে। কোনো ভুল তথ্য দিলে ব্যাংকগুলোকে জরিমানা দিতে হবে।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন