ঢাকা, রোববার, ২৫ মে ২০২৫

১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণের নিশ্চয়তা দিতে পিকেএসএফ’র ২৪০ কোটি টাকার তহবিল

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭:১২, ২৪ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৩৫, ২৪ মে ২০২৫

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণের নিশ্চয়তা দিতে পিকেএসএফ’র ২৪০ কোটি টাকার তহবিল

প্রকল্পের আওতায় পিকেএসএফ অংশীদার এমএফআইগুলোকে ২৪০ কোটি টাকার রিজার্ভ তহবিল ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণ গ্যারান্টি দেবে। ঋণের গ্যারান্টি অনুযায়ী এককালীন শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমিশন আদায় করা হবে। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ পাওয়া সহজ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্মী-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অডিটোরিয়ামে ক্রেডিট এনহেন্সমেন্ট স্কিমের (সিইএস) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড ক্রেডিট এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এই স্কিমের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া সহজ হবে, যা এতদিন ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের (এমএফআই) পক্ষে সংগ্রহ করা কঠিন ছিল।

সরকার ও এডিবির সহায়তায় এই পাইলট প্রোগ্রামে আজ পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক ও একটি নন ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলে জানান তিনি। আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে প্রতিটি স্কুলের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।

তিনি বলেন, মাইক্রো ফাইন্যান্স সেক্টর যদি অটোমেটেড হয়ে যায়, ইফিশিয়েন্টলি কাজ করে তাহলে পরিচালন ব্যয় অনেক কমে যায়। যারা দক্ষ হবে তারাই টিকে থাকবে এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে। আমরা রেগুলেটরি ইন্টারভেনশন করবো না।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, "বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছেন, যাদের আনুমানিক তহবিলের চাহিদা প্রায় ৬০ লক্ষ কোটি টাকা। অথচ, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকসহ অন্যান্য উৎস মিলে এই চাহিদার মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ পূরণ করছে। এই ঘাটতি কমাতেই আমরা এই প্রকল্প চালু করেছি।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা আশা করি, আরও ব্যাংক স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই উদ্যোগে যুক্ত হবে। পিকেএসএফ শুধু ঋণের গ্যারান্টিই দেবে না, ঋণের সঠিক ব্যবহারের ওপরও নজরদারি করবে।"

পিকেএসএফ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০টি ব্যাংক ইতোমধ্যেই এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে। পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে, প্রকল্পটির মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ বাজারে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা প্রবাহিত হতে পারে, যা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।

পিকেএসএফ মাঠপর্যায়ে এই ঋণ কোথায় ও কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, তাও পর্যবেক্ষণ করবে। উৎপাদন, সেবা এবং ব্যবসার পাশাপাশি দারিদ্র্যপীড়িত, জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলের ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন