ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

যেসব সেবা প্রদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫:২৭, ৯ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৫:২৭, ৯ মে ২০২৫

যেসব সেবা প্রদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্বাধীনতার পর ঢাকাস্থ মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়। তখন এর পাঁচটি শাখা ও দুটি এক্সচেঞ্জ কন্ট্রোল ইউনিট ছিল। দেশের আর্থিক খাতের ক্রমাগত সম্প্রসারণের ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতা বৃদ্ধি পায়। পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পরে এর এক্সচেঞ্জ কন্ট্রোল ইউনিট দুটিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ শাখা অফিস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আর্থিক খাতের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে দেশের কয়েকটি বিভাগীয় শহরে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও শাখা অফিস স্থাপন করা হয়। 

বর্তমানে সারা দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি শাখা অফিস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সমগ্র ব্যাংকিং খাত নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা অফিসসমূহ:

১. সদরঘাট অফিস
২. মতিঝিল অফিস
৩. চট্টগ্রাম অফিস
৪. খুলনা অফিস
৫. রাজশাহী অফিস
৬. বগুড়া অফিস
৭. সিলেট অফিস
৮. বরিশাল অফিস
৯. রংপুর অফিস
১০. ময়মনসিংহ অফিস।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়ক প্রতিষ্ঠানসমূহ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশেষ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন, ব্যাংকিং বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণার বিকাশ ইত্যাদি বিষয়ে জানা ও জ্ঞান সমৃদ্ধকরণই হলো এসব প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-
- বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং অ্যাকাডেমি (বিবিটিএ)
- বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)
- দি ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (আইবিবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে বিদ্যমান সুবিধাসমূহ

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ অন্য শাখা অফিসগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধা ছাড়াও আরও যেসব সুবিধা ও সেবা প্রদান করা হয় সেগুলো হলো:

১. বাংলাদেশ ব্যাংক লাইব্রেরি

১৯৬০ সালে ‘স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান লাইব্রেরি’ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাকালে এর বই সংখ্যা ছিল সাতশত। স্বাধীনতার পর এ লাইব্রেরিটির নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ ব্যাংক লাইব্রেরি’। প্রযুক্তির ব্যবহার ও সংগ্রহের বিবেচনায় ক্রমে এটি দেশের সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরির শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইব্রেরি বাংলাদেশের অন্যতম বিশেষায়িত লাইব্রেরি।

প্রধান ভবনের সপ্তম তলায় অবস্থিত সুবিশাল এ লাইব্রেরিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও ব্যাংকার, গবেষক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক ব্যবহার করতে পারে। এ লাইব্রেরিতে অর্থনীতি, ব্যাংকিং, ফিন্যান্স, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, মুদ্রানীতি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রভৃতির ওপর প্রকাশিত বই এবং জার্নালের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। এছাড়াও শিল্প, সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, মুক্তিযুদ্ধ, শিশুতোষ এবং সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য প্রকাশনাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে। 

বর্তমানে এ লাইব্রেরিতে প্রায় ৩৫০০০ বই, ২১০০০ জার্নাল ও ম্যাগাজিন, ৭০০০ ই-বুক, ২৫০০০ ই-জার্নাল এবং ১০০০ সিডি/ডিভিডি রয়েছে। লাইব্রেরিতে নিয়মিতভাবে দেশের সকল জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ তিনটি আন্তর্জাতিক দৈনিক পত্রিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ১৯৭১ সাল থেকে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রকাশনা লাইব্রেরির সংগ্রহে রয়েছে। 

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সকল প্রকাশনা (বাংলাদেশ ব্যাংক বার্ষিক রিপোর্ট, ইকোনোমিক ট্রেন্ডস) ও বিভিন্ন বিভাগ/অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট (নোটিং, সার্কুলার, অর্ডার) এবং গবেষণাধর্মী ডকুমেন্টের হার্ডকপি ও সফ্টকপির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামের অডিও-ভিডিও ক্লিপিংস, ফটোগ্রাফ এবং ডকুমেন্টারিসমূহ ভবিষ্যৎ রেফারেন্সের জন্য লাইব্রেরিতে সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়া, বাজেট বক্তৃতার অডিও-ভিডিও ক্লিপিংস এবং বিভিন্ন প্রকার ফিল্ম (যেমন: মুক্তিযুদ্ধ, ক্লাসিক, অস্কারপ্রাপ্ত ও ব্যাংকিং বিষয়ক ফিল্ম) ও নাটক সংরক্ষণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক লাইব্রেরি পাঠকদের দ্বারপ্রান্তে অনলাইনের মাধ্যমে যে সমস্ত তথ্যসেবা দিয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল: সার্কুলেশন (ইস্যু-রিটার্ন) সার্ভিস, বিভিন্ন লাইব্রেরি রিসোর্স সার্চ (বুক, জার্নাল, রিপোর্ট, সিডি/ডিভিডি, ই-বুক, ই-জার্নাল) ও রিজার্ভেশন, ব্যবহারকারী কর্তৃক রিসোর্স পুনঃনবায়ন, ই-মেইলের মাধ্যমে ওভারডিউ নোটিফিকেশন সেবা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিসের লাইব্রেরিসমূহের ক্যাটালগ সার্চ, রেফারেন্স সার্ভিস, অনলাইন সার্ভিস ইত্যাদি। 

এ লাইব্রেরির মাধ্যমে প্রিন্ট ও অনলাইনভিত্তিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ নিউজ বিশেষ করে অর্থনীতি, উন্নয়ন ও ব্যাংকিং বিষয়সহ অন্যান্য সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর নিউজসমূহ প্রতিদিন ই-নিউজক্লিপিং সফ্টওয়্যারে আপলোড করা হয়।

২. বাংলাদেশ ব্যাংক চিকিৎসা কেন্দ্র

তৎকালীন স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান, ঢাকা অফিস যাত্রা শুরু করেছিল সদরঘাট থেকে। তখন থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিবিধ সুবিধার পাশাপাশি চিকিৎসা সুবিধা প্রচলিত ছিল। অফিস চত্বরেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করা হয়। পরে মতিঝিলে ডিজি অফিস শুরু হলে চিকিৎসা কেন্দ্রটি চলে আসে মতিঝিলে নির্মিত আবাসিক কলোনির বিদ্যালয়ের নিচতলায়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত হয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রটি প্রথম সংলগ্নী ভবনের দ্বিতীয় তলায় কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে এটি দ্বিতীয় সংলগ্নী ভবনের চতুর্থ তলায় অপেক্ষাকৃত বৃহৎ পরিসরে কাজ করছে। 

ঢাকার বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসগুলোতেও চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, তবে সেগুলো অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিসরে। বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিজে এবং তার পরিবারের প্রতিটি সদস্য যেমন স্ত্রী বা স্বামী এবং অনূর্ধ্ব ২৫ বছর বয়সী অবিবাহিত সন্তানগণ চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে থাকে। ঢাকার চিকিৎসা কেন্দ্রটি মতিঝিল অফিসের অধীনে চিকিৎসা কেন্দ্র উপবিভাগ হিসেবে কাজ করছে। চিকিৎসা সুবিধাপ্রাপ্ত প্রত্যেকে এই কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত বিশেষায়িত চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।

৩. বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ ক্যান্টিন

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার পরপরই এখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ ক্যান্টিন। শুরুতে একটি টিনশেড ঘরে এর কার্যμম শুরু হয়। ক্যান্টিনটি বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম সংলগ্নী ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থিত। প্রায় ৫০০০ বর্গফুটের এই ক্যান্টিনে প্রতিদিন ১১০০-১২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য সকাল ও বিকেলে হালকা নাশতাসহ মধ্যাহ্নভোজের বন্দোবস্ত রয়েছে। পূর্বে কুপন সিস্টেমে খাবার সরবরাহ করা হতো। গত শতকের সত্তরের দশকে অফিসারদের ১ টাকা ২৫ পয়সা ও কর্মচারীদের জন্য ১ টাকায় লাঞ্চ সরবরাহ করা হতো। এক সময়ে সকাল ১০-১১টা ও বিকাল ৩-৪টায় মাত্র ২৫ পয়সায় চা ও দুটি বিস্কুট পাওয়া যেত। শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের কল্যাণ শাখা সরাসরি এ ক্যান্টিন পরিচালনা করত। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সেবামূলক কর্মকাণ্ড বিধায় প্রতি বছর ক্যান্টিন পরিচালনা খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ভর্তুকি (সাবসিডি) দেওয়া হতো। পরবর্তী সময়ে ব্যাংক কর্তৃক এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্যান্টিনসুবিধা বাবদ নগদ অর্থ (সাবসিডি) প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০০৪-০৫ অর্থবছর থেকে ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব মতিঝিল অফিসের কল্যাণ শাখার মাধ্যমে বেসরকারি ক্যাটারার সার্ভিসকে দেওয়া হয়।

৪. বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী সমবায় ঋণদান সমিতি লিমিটেড 

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী সমবায় ঋণদান সমিতি লি: বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত একটি অনন্য সমবায় প্রতিষ্ঠান। মাত্র ২৫ জন সদস্য ও ৭৫ টাকা পুঁজি নিয়ে ২৫ অক্টোবর ১৯৪৮ সালে একটি রেজিস্টার্ড সমিতি হিসেবে এটি আত্মপ্রকাশ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন দূরদর্শী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আহম্মেদ তাঁর কতিপয় উৎসাহী সহকর্মীর সহায়তায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যাংকে কর্মকালীন এবং অবসর গ্রহণের পর নিজেদের আর্থিক অবস্থান নিরবচ্ছিন্নভাবে সুদৃঢ় রাখাই এ সমিতির উদ্দেশ্য। স্বাধীনতার পর সমিতি কর্তৃক বেশ কিছু কল্যাণমূলক স্কিম প্রবর্তন ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির ফলে সমিতির সুনাম ব্যাংক চত্বরের বাইরে জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯২ সালে এ সমিতিকে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতি হিসেবে ‘স্বর্ণপদকে’ ভূষিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে এ সমিতি অনেকগুলো নতুন স্কিম ও কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ঢাকার শান্তিবাগে ১৪০টি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট এক বৃহদায়তন গৃহায়ন প্রকল্প চালু করে। সমিতির বর্তমান সদস্যসংখ্যা ৩,৯৪১ জন এবং মোট পরিসম্পদের পরিমাণ ১৫৫.০০ কোটি টাকা এবং অনুমোদিত মূলধন ১৫.০০ কোটি টাকা। 

সমিতিতে সদস্য ও অ-সদস্য মিলিয়ে মোট সাড়ে নয় হাজার সক্রিয় হিসাব বিদ্যমান। এর বিপরীতে দৈনিক গড়ে ওভার দি কাউন্টার লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৪/৫ কোটি টাকা। সমিতির ক্যাশ, সেভিংস এবং লোনস অ্যান্ড ফান্ডস শাখা বর্তমানে সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড। দৈনন্দিন লেনদেন ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাসিক বা সাময়িক বেতন ভাতাদিসহ ব্যাংকের পক্ষে তাঁদের হিসাবে জমা করা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষও সর্বদা সমিতিকে অবকাঠামো ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে সহায়তা করেন।

৫. বাংলাদেশ ব্যাংক শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের প্রথম সংলগ্নী ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২০০৬ সালের ১ আগস্ট ৩২টি শিশুর যত্ন ও লালনপালনের সুবিধাদি নিয়ে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র’ চালু হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসের কল্যাণ শাখা এই কেন্দ্রের তত্ত্ববধায়ক হিসেবে কাজ করে। ২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আধুনিক ও বৃহৎ পরিসরে নির্মিত শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। দিবা-যত্ন কেন্দ্রে শিশুদের প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের নিকট আকর্ষণীয় করার উদ্দেশ্যে এতে বিভিন্ন কার্টুনের ছবি প্রিন্ট করে উন্নতমানের সিলিং বোর্ড ফিটিং করা হয়েছে। প্রতিটি দেয়ালে রংতুলির সাহায্যে বিভিন্ন মনোরম দৃশ্য যেমন-পশুপাখি, গাছপালা, গাড়িঘোড়া, মাছ ও তারার ছবি আঁকা রয়েছে। এর মেইন গেইটের গ্লাসে ডিজাইন কার্টুন পেপার লাগানো হয়েছে, যা শিশুদের স্বপ্নজগৎ হিসেবে তাদের বুদ্ধি ও মননের বিকাশে সহায়ক হতে পারে। বর্তমানে এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৬ মাস থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুদের অফিস সময়ে লালনপালন ও পরিচর্যা সেবা প্রদান করা হয়।

৬. ন্যায্য দামে মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের সুবিধা

১৯৭৩ সালে সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মচারী ভোগ্যপণ্য সরবরাহ সমবায় সমিতি লি: ঢাকা প্রতিষ্ঠিত হয়।বর্তমানে এটি মূলত একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এইসমিতির সদস্য। ভোক্তাগণ বাজারের কেনা-কাটার ঝক্কি এড়িয়ে এখান থেকে তাঁদের প্রয়োজনীয় ও মানসম্মত দ্রব্যাদি সংগ্রহ করতে পারেন। সময়ে সময়ে সমিতি সদস্যদের লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) প্রদান করে থাকে।

৭. বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা/কর্মচারী নিবাস

ঢাকার মিন্টো রোড, বনানী, আরামবাগ, আর কে মিশন রোড ও ফরিদাবাদে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য নিবাস রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও সিলেটে একই ধরনের নিবাস রয়েছে।

৮. বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থানুক‚ল্যে ঢাকার মতিঝিল ও ফরিদাবাদ এবং চট্টগ্রাম ও সিলেটে পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া খুলনায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঢাকার বনানীতে একটি প্রিপারেটরি স্কুল রয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস।

এএ
 

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন