ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮:০৩, ২৮ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৮:০৪, ২৮ জুন ২০২৫
দেশের আর্থিক খাতের দুর্বল ১২টি ব্যাংককে এখন পর্যন্ত মোট সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শনিবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঋণ নেওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, এবি ব্যাংক, বিসিবিএল, আইসিবি, বেসিক ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, যার পরিমাণ ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গ্রাহকের আমানত ফেরত দিতে ডিমান্ড লোনের মাধ্যমে ১০টি ব্যাংক পেয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। পাশাপাশি ৯টি ব্যাংকের চলতি হিসাবের ঘাটতিতে থাকা ১৯ হাজার কোটি টাকাও রূপান্তর করা হয়েছে ডিমান্ড লোনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “আমরা ঋণ দিচ্ছি যেন ক্ষুদ্র আমানতকারীরা চেকের বিপরীতে টাকা তুলতে পারেন। ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ ব্যাংক তাই চায়।”
তবে ব্যাংক নির্বাহীরা বলছেন, এই সহায়তা সাময়িক অস্থিরতা কাটালেও পুরোপুরি সমাধান হয়নি সমস্যার।
এমন প্রেক্ষাপটে দুর্বল ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ধাপে হাফ ডজনের মতো প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে খুব শিগগিরই একীভূত করা হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে। তবে এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মী তাদের চাকরি হারাবেন না।
'এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে প্রয়োজনে শাখাগুলো স্থানান্তর করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহরে বেশি, সেসব ব্যাংককে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে', যোগ করেন তিনি।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন