ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০:৫৭, ৪ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১০:৫৭, ৪ জুলাই ২০২৫
অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (ওবিইউ) রাখা বৈদেশিক মুদ্রা জামানত রেখে দেশে কার্যরত কোম্পানি ও ব্যক্তিকে টাকায় ঋণ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
এর ফলে দেশের ব্যাংকগুলো এখন থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (ওবিইউ) রাখা বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল জামানত হিসেবে ব্যবহার করে ঋণ দিতে পারবে। এছাড়া ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও তাদের বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে ঋণ নিতে পারবেন।
তবে এ ঋণ হবে স্বল্পমেয়াদি। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দিয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, অনিবাসী হিসাবধারীদের ওবিইউতে রাখা বৈদেশিক মুদ্রা ডমেস্টিক ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে টাকায় ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিদেশী নাগরিক, বিদেশী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিদেশে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রায় ওবিইউতে আমানত রাখতে পারে।
তবে ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত হতে হবে যে, ঋণগ্রহীতা ও হিসাবধারীর মধ্যে যৌক্তিক সম্পর্ক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রবাসী বাংলাদেশী ও তাদের স্থানীয় সুবিধাভোগী, বিদেশী শেয়ারহোল্ডার, বিনিয়োগকারী, সংশ্লিষ্ট বিদেশী মালিকানাধীন কোম্পানি ইত্যাদি।
জামানত হিসেবে ব্যবহৃত এ অর্থের বিপরীতে শুধু স্বল্পমেয়াদি চলতি মূলধনি ঋণ দেয়া যাবে এবং জামানতের জন্য মাশুল দিতে হবে না। তবে প্রয়োজনবোধে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংক জামানতের কিছু অংশ মার্জিন হিসেবে রাখা যাবে। ঋণ পরিশোধ না হলে নির্ধারিত আনুষ্ঠানিকতা মেনে সংশ্লিষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়ন করে ঋণ সমন্বয় করা যাবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ওবিইউ ছাড়াও প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট ও নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে থাকা ব্যালান্সও জামানত হিসেবে ব্যবহার করে টাকায় ঋণ নেয়া যাবে। তবে ওবিইউর মাধ্যমে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশে পরিচালিত বিদেশী মালিকানাধীন কোম্পানিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলেছেন, স্থানীয়ভাবে জামানত দেয়া সহজ নয়। বিদেশী শেয়ারহোল্ডার বা বিনিয়োগকারী কোম্পানি কর্তৃক বাংলাদেশে জমাকৃত বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে ব্যাংকে রেখে এখন টাকায় ঋণ পাওয়া সহজ হবে।
এর ফলে নতুন বিধিতে বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন