ঢাকা, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ মুহররম ১৪৪৭

রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৭:১৬, ২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ০৭:২৩, ২ জুলাই ২০২৫

রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে বর্তমানে ৩১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার বেশি।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এই বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রবাসী আয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবাহ। বিদায়ী অর্থবছরে ২৯ জুন পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩০.২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা দেশের ইতিহাসে যেকোনো অর্থবছরে সর্বোচ্চ।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালান্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) অনুযায়ী, বাংলাদেশের নিট রিজার্ভ বর্তমানে ২৬.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যকে জানান, আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী আজ দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৬৬ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ১৬৮ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

অর্থবছর শেষে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ আরও তিন কোটি ডলার বেড়েছে, অর্থাৎ ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার করে এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে বাংলাদেশ যে প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, তা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় ইতিবাচক বার্তা। নতুন অর্থবছরের শুরুতে এমন অর্জন সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে আরও গতিশীল করতে এবং বিনিয়োগ ও উন্নয়ন ব্যয়ের জন্যও সহায়ক হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন