ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭:০৫, ২৪ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৭:০৫, ২৪ জুলাই ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে এমন কোনো কাজ করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের একটি অনলাইন মিটিং রয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরবর্তি কর্মকাণ্ড নির্ধারণ করবো।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা গত পরশুদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রীকে করণীয় সম্পর্কে চিঠি দিয়েছি। এখন আমরা সেই চিঠির জবাবের ও আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছি। জবাব ও আমন্ত্রণ পেলে আমাদের যে টিম আছে আমরা সবাই সেখানে যাবো।
তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য যেরকম প্রয়োজন তেমন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থবিরতা নেই। আমাদের কর্মকাণ্ড যথেষ্ট গতিশীলতা নিয়ে আগাচ্ছে। আমরা আমাদের অবস্থানগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরেছি। সক্ষমতার ভীত্তিতে আমাদের যা করণীয় সেটা তুলে ধরেছি। এখন আমরা জবাবের অপেক্ষায় আছি জবাবে পেলেই চলে যাবো।
প্রত্যাশা কি জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রত্যাশার কথা আমি আগেও বলেছি। আমরা প্রত্যাশা করছি ভালো কোনো কিছু। ভালো কোনো কিছু করার ক্ষেত্রে যা করণীয় আমরা সেটাই করছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে উনাদের কাছে ভালো কোনো কিছু আমরা পাবো।
ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে লবিস্ট নিয়োগের একটা আলোচনা আছে সে বিষয়ে কোনো কিছু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা ব্যবসায়ীদের এখতিয়ার। সরকার নিজস্বভাবে কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। একটা জিনিস বুঝতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইমাজেন্সির জন্য এ কাজটি করেছে। এখানে যে কাঠামোর ওপরে ঘটনাটা ঘটছে সে কাঠামোতে লবিস্টদের করার কোনো কিছু আছে কিনা আমি জানি না। কারণ আমাদের বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন আনতে হবে। এই পরিবর্তনগুলো বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে পারবে না।
তিনি বলেন, এ পরিবর্তনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের অনেক ধরনের আইনি প্রক্রিয়া আছে। সেই আইনি প্রক্রিয়াগুলো একজন লবিস্টের পক্ষে বোঝা সম্ভব না বলে আমার ধারণা। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রায় সরকারের সকল মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছি। গত ১৫ দিন দিন রাত কাজ হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি, আমন্ত্রণ পেলে চলে যাবো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি খবর প্রচারিত হচ্ছে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে যুক্তরাষ্ট্রকে সুবিধা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে কেন কাজ করবো। সম্পূর্ণ অবান্তর প্রশ্ন, আমরা যে চেষ্টা করছি তাতে তো তাহলে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের প্রয়োজন হয় না। কোনো একটা নিদিষ্ট কিছু মেনে নিয়ে কাজ করে ফেললে হয়ে যায়। স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার প্রশ্ন আসলে পরিশ্রমের দরকার কেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ওপর ৩৫ ভাগ বাড়তি শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন