ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮:২৫, ১৭ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৮:২৫, ১৭ জুলাই ২০২৫
নাভানা রিয়েল এস্টেট বড় অংকের ঋণ নিয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে। এই ঋণ ৫০১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ইতিমধ্যে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে এই পাওনা আদায় করতে না পেরে ঋণের বিপরীতে রাখা বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রির জন্য নিলাম ডেকেছে বেসরকারি খাতের এই ব্যাংকটি।
জানা গেছে, ঢাকার তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার মোট ৫২৬ শতাংশ জমি উক্ত ঋণের বিপরীতে বন্ধক রাখে প্র্রতিষ্ঠানটি। ঋণ খেলাপির জন্য এখন এসব জমি, এতে স্থাপিত ভবন, কারখানা বিক্রির উদ্যোগে নিয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক। আগ্রহীদের আগামী ৬ আগস্টের মধ্যে নির্ধারিত অঙ্কের পে-অর্ডারসহ আবেদন করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক।
ব্যাংকের নোটিশে বলা হয়েছে, নাভানা রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদা ইসলাম, স্বামী শফিউল ইসলাম মতিঝিল শাখার (ইসলামী ব্যাংকিং) বিনিয়োগ গ্রহীতা। গত ১২ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকের পাওনা ৫০০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বেশি। এর বিপরীতে বিভিন্ন তপশিলের সম্পত্তি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রয়েছে। পাওনা ও অন্যান্য খরচ আদায়ের জন্য এসব সম্পত্তি বিক্রি করা হবে। আগ্রহীদের নির্ধারিত হারে ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোট ১১টি তপশিলে বন্ধকি সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার তেজগাঁও, ধামরাই, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশের এসব জমি, জমিতে থাকা ভবন, কারখানা বিক্রি করা হবে। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতাকে পরবর্তী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে নিলামে উদ্বৃত্ত পুরো দাম পরিশোধ করতে হবে। এসব সম্পত্তির বিপরীতে অন্য কারও পাওনা থাকলে সেই দায় ব্যাংক নেবে না। দরপত্র গৃহীত না হলে তিনি টাকা ফেরত পাবেন।
তবে নাভানা রিয়েল এস্টেটের কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এই ঋণ পুনঃতপশিলের মাধ্যমে নিয়মিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিগগিরই এটার সমাধান হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, খেলাপি ঋণ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ছাড় দিচ্ছে না। আগের মতো নীতি সহায়তা তো দূরে থাক, অনেক ক্ষেত্রে এখন গুণগত মানে খেলাপি করে দিচ্ছে। যে কারণে ঋণ আদায়ের বিষয়ে ব্যাংকগুলো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন