ঢাকা, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন: আইন উপদেষ্টা

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০:৪৬, ২০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪৬, ২০ নভেম্বর ২০২৫

৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন: আইন উপদেষ্টা

আগামী তিন থেকে চার কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় আইন সাত দিনের মধ্যেই কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

আইন উপদেষ্টা বলেন, গণভোট আইন আমরা খুব দ্রুত করতে যাচ্ছি। আজকে তো বৃহস্পতিবার, ধরেন আগামী তিন চার কার্যদিবসের মধ্যে হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আলাদা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠনের রূপ চূড়ান্ত করেছে সরকার। আইন কার্যকর হওয়ার পর দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আজকে আরেকটা ঐতিহাসিক রায় হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পেয়েছিলাম। এটা আমাদের ভোটের নিশ্চয়তা দিয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা বেশ কয়েকটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন দেখেছিলাম। সবসময় দেখতাম ক্ষমতাসীন দল পরাজিত হতো এবং এটা আমাদের কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হতো। এছাড়া বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলগুলোর ব্যর্থতা থাকে, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে হতো।

তিনি বলেন, খুবই আনফরচুনেটলি আমাদের সাবেক প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে রায় দিয়ে এটাকে অবৈধ করা হয়। এরপর এটার সুযোগ নিয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এটা বাতিল করে।সেই রায়টা বাতিল হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এটা কার্যকর হবে আগামী সংসদ নির্বাচনের পরে। কারণ, সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এখন সংসদের অস্তিত্ব নেই এবং আমাদের উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আগামীতে যে সংসদ গঠিত হবে, সেই সংসদ যখন ভেঙে যাবে, তার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে দেশে ফেরাতে রোমভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি প্রত্যার্পণ চুক্তি বাস্তবায়নে পুনরায় ভারতের কাছে আবেদন করা হবে। তারা দুজনই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (আইসিটি-১) কর্তৃক মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’

আমরা ভারতকে তাদের প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি এবং সে কারণেই এই চিঠি পাঠানো হচ্ছে, বলেন আইন উপদেষ্টা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন