ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

১ পৌষ ১৪৩২, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেল এনসিপি, প্রতীক ‘শাপলা কলি’

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০:৫১, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫১, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেল এনসিপি, প্রতীক ‘শাপলা কলি’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে আজ নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।এসময় তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে, গ্রাম বাংলার মানুষের প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা কলি’ এবার নির্বাচনে থাকবে।

বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছ থেকে তিনি দলের নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।

এ সময়  ইসি ও এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এনসিপি আহ্বায়ক।

বৈঠক শেষে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সিইসি’র সঙ্গে আজকের বৈঠক ছিল মূলত— কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, সেটি আমরা গ্রহণ করেছি। এনসিপি একটি নিবন্ধিত দল হিসেবে এখন থেকে কাজ করবে। এই নিবন্ধন সার্টিফিকেটের সঙ্গে আমাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনেক চড়াই উতরাই পার হয়ে প্রতীক পেয়েছি ‘শাপলা কলি’। নিবন্ধনের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রস্তাবনা অনুযায়ী আরপিও’তে পরিবর্তন এনেছে। প্রত্যেকটা দল তাদের স্ব স্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে এই সংস্কার প্রস্তাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছি। আমরা মনে করি— বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার জন্য এই নিয়মটি প্রয়োজন। প্রত্যেকটা দলকে তার নিজস্ব প্রতীকে, নিজস্ব মার্কায়, নিজস্ব আদর্শে রাজনীতি করা উচিত।

নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো দলের সাথে জোট বা সমঝোতা হলেও তার প্রতীক আলাদা হওয়া উচিত। কিন্তু, আমরা দেখে আসছি যে, সরকারকে এবং ইসিকে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে একটি দলের পক্ষ থেকে। যাতে এই আইনটি সংস্কার করে প্রস্তাবনাটি বাতিল করা হয়। যাতে জোটের সঙ্গীরা এক মার্কায় নির্বাচন করতে পারে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে— হলফনামায় প্রার্থীরা যে তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে থাকবে, সেই তথ্য যাতে ইসি যাচাই-বাছাই করে। সেই তথ্যে যদি ভুল থাকে, ইসির পক্ষ থেকে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক যে আইন, সে আইন যাতে সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হয়।’ 

দলটির আহ্বায়ক বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। এখন যে ডিসি, এসপি বদলি হচ্ছে, সে বিষয়ে যেন ইসি খেয়াল রাখে। এই  বিষয়ে যেন ইসি ব্যবস্থা নেয় এবং নিরপেক্ষ লোক যেন নিয়োগ হয়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘তফসিলের বিষয়ে ইসি আমাদেরকে সুস্পষ্টভাবে জানায়নি। ইসি মিডিয়াতে বলেছে— হয়তো আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে দেবে। আমরা বলেছি— বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই তারা যাতে তফসিলের ঘোষণাটি দেয়। তফসিল এমন সময়ে দেওয়া হোক, যখন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে। আমরা বলেছি— বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই ইসি যাতে তফসিলের ঘোষণাটি দেয়।’

সিইসির সাথে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

এএ

 

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন