ঢাকা, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

টেকসই ঋণ ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে: শেখ মইনুদ্দিন

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০:৫১, ১১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫২, ১১ অক্টোবর ২০২৫

টেকসই ঋণ ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে: শেখ মইনুদ্দিন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনুদ্দিন বলেছেন, সরকার ব্যয় ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতের যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিদেশি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে স্থায়িত্ব এবং নমনীয়তার কঠোর মানদণ্ড অনুসরণ করছে।

সরকার কম সুদের হার এবং নমনীয় শর্তে ঋণ সংগ্রহের জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি যে, যেকোনো নতুন বিদেশি অর্থায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।’

সংবাদ সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

শেখ মইনুদ্দিন উল্লেখ করেন, ঋণদাতা দেশ বা সংস্থার আরোপিত শর্তগুলো দীর্ঘদিন ধরে প্রতিযোগিতা সীমিত করেছে, যার ফলে তহবিল প্রদানকারী দেশের কোম্পানিগুলোই বেশিরভাগ সময় প্রকল্পের কাজ পেয়ে যায়। যদিও সরকার ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক ক্রয় নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করে।

তিনি জানান, সরকার এখন এমন প্রকল্পের জন্য ঋণ নিতে চায়, যেগুলোর ওপর এ ধরনের সীমাবদ্ধ শর্ত নেই। 

দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন কৌশল সম্পর্কে বিশেষ সহকারী বলেন, সরকার নতুন মেট্রোরেল প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে আগ্রহী। তিনি আরো জানান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এসব প্রকল্পে ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যেখানে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি বজায় থাকবে।

মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ব্যয় হ্রাসকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি কৌশল বিবেচনা করছে, তা হলো— ধারাবাহিকভাবে না করে একই সঙ্গে একটি প্রকল্পের জন্য সমস্ত চুক্তি প্যাকেজ চালু করা। এর ফলে দরদাতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং সরকার বিদ্যমান ঠিকাদারদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে না।

তিনি আরো বলেন, নতুন অবকাঠামো প্রকল্প হাতে নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার সতর্কভাবে এগোচ্ছে, যেন পরবর্তী সরকারের ওপর অপ্রয়োজনীয় আর্থিক চাপ না পড়ে।

মইনুদ্দিন জানান, ঠিকাদার দেউলিয়া হওয়া, অর্থের অভাব, ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্ব এবং ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের মতো সমস্যার কারণে অনেক চলমান উন্নয়ন প্রকল্প স্থবির হয়ে আছে। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিবহন খাতের সবচেয়ে বড় কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ হলো— বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি।

এই সমস্যা মোকাবিলায় মইনুদ্দিন বলেন, নৌপথ, সড়ক ও মহাসড়ক, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) এবং বিমান পরিবহনসহ সব পরিবহন-সংশ্লিষ্ট বিভাগকে একটি ঐক্যবদ্ধ কাঠামোর অধীনে পরিচালনা করা উচিত।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন