ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

৩০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

প্রবাসী আয়ে শীর্ষ ১০ ব্যাংক, চমক কৃষি ব্যাংকের

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২:০৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:০৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রবাসী আয়ে শীর্ষ ১০ ব্যাংক, চমক কৃষি ব্যাংকের

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর—এই ১১ মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৯৫৮ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১০ ব্যাংকের মাধ্যমেই এসেছে ২ হাজার ৬৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত ১১ মাসে দেশে আসা প্রবাসী আয়ের ৭০ শতাংশই এনেছে ১০টি ব্যাংক। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক এনেছে ৫৫৩ কোটি ডলার। এরপরই রয়েছে কৃষি ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ২৭৭ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়ের তথ্য পর্যালোচনায় এই চিত্র পাওয়া গেছে।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী আয় সংগ্রহের দিক থেকে আগে থেকেই ভালো অবস্থানে ছিল। নতুন করে প্রবাসী আয় আহরণে বড় চমক দেখিয়েছে কৃষি ব্যাংক। প্রবাসী আয় সংগ্রহে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। প্রবাসী আয় সংগ্রহের বাজারে যুক্ত হয়ে ব্যাংকটি ভালো সাফল্যও পেয়েছে।

এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬৫ কোটি ডলার। এ ছাড়া জনতা ব্যাংক এনেছে ১৯৭ কোটি ডলার, ব্র্যাক ব্যাংক ১৯১ কোটি ডলার, ট্রাস্ট ব্যাংক ১৬০ কোটি ডলার, সোনালী ব্যাংক ১৪৫ কোটি ডলার। রূপালী, সিটি ও পূবালী ব্যাংক এনেছে যথাক্রমে ১১০ কোটি, ৮৪ কোটি ও ৭৯ কোটি ডলার।

প্রবাসীরা বিদেশের অর্থ স্থানান্তর প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসে টাকা জমা দেন। দেশের ব্যাংকগুলো সেই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করে। ব্যাংকগুলো নিজেদের ব্যাংকের বাইরে যেসব অর্থ সংগ্রহ করে, তা দিনে দিনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে পাঠিয়ে দেয়।

এর মধ্যে কৃষি ব্যাংক সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় পাচ্ছে মালয়েশিয়ার মার্চেন্ট্রেড থেকে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ ও রিয়া মানি, মালয়েশিয়ার সিবিএল মানি ও এনবিএল মানি, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যের এনইসি মানি, দক্ষিণ আফ্রিকার হোম রেমিট ও যুক্তরাজ্যের ইজেড রেমিট থেকে বেশি আয় সংগ্রহ করছে।

কৃষি ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ও হিসাব বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন,‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তৃত এক হাজারের বেশি শাখা। আগে গ্রাহকেরা মূলত গোপন পিন নম্বর ব্যবহার করে প্রবাসী আয় গ্রহণ করতেন। এখন আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ায় গ্রাহকেরা নিজের হিসাবে সরাসরি টাকা জমা নিতে পারছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টায় এই সেবা দেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে, সদ্য বিদায়ি নভেম্বর মাসে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এলেও দেশের ৮টি ব্যাংকে আসেনি কোনো রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রয়েছে একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ২টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৪টি বিদেশি ব্যাংক।

নভেম্বরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের ব্যাংক আল ফারাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন