ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮:১৬, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:১৬, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
দেশের সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মুদ্রাস্ফীতি হার ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.২৯ শতাংশে। যা অক্টোবরের ৮.১৭ শতাংশের তুলনায় সামান্য বেশি। এই সামান্য বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের বছরের নভেম্বরে এ হার ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশে, যা আগের মাস অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমেছে। এক বছর আগে, অর্থাৎ ২০২৪ সালের নভেম্বরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
খাদ্যবহির্ভূত (নন-ফুড) খাতে নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে ৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাস অক্টোবরে ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বরে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এছাড়া গ্রামীণ এলাকায় চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮.২৬ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৮.১৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যে গ্রামীণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭.২৭ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে ৯.২৪ শতাংশ।
শহর এলাকায় একই সময়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮.৩৯ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৮.৩৩ শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৭.৬১ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত খাতে ৮.৯১ শতাংশে পৌঁছেছে।
বিবিএস জানিয়েছে, দেশের ৬৪টি জেলার ১৫৪টি হাট-বাজার থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে নভেম্বর ২০২৫ মাসের ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) প্রস্তুত করা হয়েছে।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন