ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২:২৭, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২২:২৭, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রপ্তানি খাতের আর্থিক প্রক্রিয়া সহজ করতে এখন থেকে পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে ডিসকাউন্ট দাবির আবেদনগুলো বিবেচনা করবে ছাড় কমিটি।
আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সরকারের সাম্প্রতিক এক নির্দেশনা অনুসারে, অনুমোদিত ডিলাররা সরাসরি ছাড় কমিটির কাছে এই দাবির জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন। আবেদনগুলো অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের মাধ্যমে পাঠাতে হবে এবং নির্ধারিত সব নিয়ম ও আনুষ্ঠানিকতা মেনে চলতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বিদেশি ক্রেতা যদি পণ্যের মান, বাজার পরিস্থিতি বা শিপমেন্ট-সংক্রান্ত কারণে পুরো বিল পরিশোধ না করে কম দামে পরিশোধ করতে চান, তাহলে রপ্তানিকারকরা যাতে দ্রুত তাদের আয় ফেরত আনতে পারেন, সে জন্যই এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
এই নতুন সিদ্ধান্ত, সার্কুলারের ১৯(৪) অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিদ্যমান ব্যবস্থাকে আরও প্রসারিত করেছে। যেখানে তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি চালানের বিপরীতে অনুমোদিত ডিলারদের ডিসকাউন্ট দাবির আবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ আগে থেকেই রয়েছে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় শিল্পের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) এবং বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (বিজেএসএ) ছাড় কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
অনুমোদিত ডিলারদের অবিলম্বে এই সার্কুলারের বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের নজরে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ, যে কোনো পণ্য বিদেশে যে দামে রপ্তানি করা হয়েছে, কোনো কারণে বিদেশি ক্রেতা যদি সেই পুরো মূল্য পরিশোধ না করে কম টাকা দিতে চায়, তাহলে যেই কম দামে পরিশোধ করার অনুরোধ বা দাবি করা হয়, সেটাই হলো ডিসকাউন্ট ক্লেইম।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন