ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

২১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

নগদের পরিবর্তে স্টক লভ্যাংশ দেবে ন্যাশনাল হাউজিং

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০:২৭, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:২৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নগদের পরিবর্তে স্টক লভ্যাংশ দেবে ন্যাশনাল হাউজিং

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স পিএলসি সর্বশেষ ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটির ঘোষিত নগদ লভ্যাংশে অনুমোদন না দিয়ে এর পরিবর্তে স্টক লভ্যাংশ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের পর্ষদ লভ্যাংশের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার ভিত্তিতে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদের পরিবর্তে ১০ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে।

এখন এই লভ্যাংশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন চাইবে কোম্পানিটি।

এদিকে ঘোষিত এই লভ্যাংশ এবং চলতি বছরের অন্যান্য এজেন্ডাসমূহে বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে তারা। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ছিল গত ৩০ জুলাই।

স্টক লভ্যাংশ ঘোষণার কারণ হিসেবে টায়ার-১ মূলধন শক্তিশালী করার পাশাপাশি ব্যবসায় পুনর্বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৫ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ন্যাশনাল হাউজিংয়ের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬০ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সায়।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরে ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ইপিএস হয়েছে ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯৫ পয়সায়।

২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল হাউজিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১১৭ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৭০ লাখ ৩১ হাজার ২০০। এর ৫০ দশমিক ৫৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া সরকারের কাছে ৯ দশমিক ৩৪, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১১ দশমিক ২৮ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২৮ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন