ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০:২৯, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:২৯, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
খেলাপি ঋণ অবলোপনের সময়সীমার নিয়ম শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কোনো ঋণ যদি ‘মন্দ’ বা ‘ক্ষতিজনক’ শ্রেণিতে পড়ে তাহলে সেগুলো ব্যাংক চাইলে অবলোপন করতে পারবে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এ নির্দেশনা অবিলম্বে পরিপালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বহুদিন ধরে ঝুলে থাকা পুরোনো শ্রেণিকৃত ঋণগুলোকে অবলোপনে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে অবলোপনের আগে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে কমপক্ষে ১০ কর্মদিবস আগে নোটিশ দিয়ে বিষয়টি জানানো বাধ্যতামূলক।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ১৯ অক্টোবর জারি করা সার্কুলারে গ্রাহকের ঋণ অবলোপন করার ৩০ দিন আগে গ্রাহককে জানানোর নির্দেশনা ছিল।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনা দিতে পারবে। তবে কোনো ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নীতিমালা না থাকলে, তা পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে প্রণয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, কোনো গ্রাহকের ঋণ একাধারে মন্দ ও ক্ষতিজনক শ্রেণিতে অবস্থান করলে, সেটি অবলোপন করার সুযোগ রয়েছে। তবে অধিকতর পুরনো ঋণগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবলোপন করতে হবে।
নতুন নির্দেশনার ফলে আগের শর্ত- যে কোনো ঋণকে টানা দুই বছর মন্দ বা ক্ষতিজনক অবস্থায় থাকতে হবে, তবেই অবলোপন করা যাবে- এই বাধ্যবাধকতা বাতিল করা হয়েছে। নির্দেশনা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যাংকের ২০২৪ সালের আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৬২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন