ঢাকা, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বেড়েছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১:২০, ৯ মে ২০২৫ | আপডেট: ১১:২২, ৯ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বেড়েছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি


যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। একক বাজার হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র এই তিন মাসে বাংলাদেশ থেকে ২২২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলসের (ওটেক্সা) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

ওটেক্সার ৬ মে প্রকাশিত তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ২ হাজার ৪ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। এই সময়ে পোশাক আমদানির শীর্ষ উৎস চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ (আমদানি ৩৫৯ কোটি ৬১ লাখ ডলার) এবং ভিয়েতনাম থেকে আমদানি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ (আমদানি ১ হাজার ৩১৭ কোটি ডলার)। অন্যান্য প্রধান সরবরাহকারী দেশ যেমন ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মেক্সিকো, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও কোরিয়া থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে। 

শীর্ষ ১০ উৎসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকেই আমদানি প্রবৃদ্ধির হার সর্বাধিক।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নেও (ইইউ) বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার।

২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে ইইউতে পোশাক আমদানি ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে ১৬ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।ইইউতে পোশাক আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং গড় ইউনিট মূল্যে ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই ইতিবাচক রপ্তানি প্রবণতার পেছনে বেশ কিছু বিষয় ভূমিকা রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে- ইইউর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার, নিরাপত্তা মান মেনে চলা এবং নির্মাতা ও শ্রমিকদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা।

২০২৫ সালের পুরো বছর জুড়ে কাজের অর্ডার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সহায়ক হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ক্রেতারা বাংলাদেশে তাদের সোর্সিং কার্যক্রম বাড়াচ্ছেন, ফলে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন